শিফার মৃত্যুর দেড় বছর পর প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


 বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজা শিফার মৃত্যুর দেড় বছর পর প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন।


২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বগুড়া শহরের গোদারাপাড়ার তা‘লীমুল কুরআন মহিলা মাদরাসার স্টোর রুম থেকে শিফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে ধরে নিয়ে দায়ের করা হয় একটি ইউডি মামলা। শিফা ছিলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার পোথাট্টি গ্রামের সিদ্দিক প্রামাণিকের মেয়ে।

গত ১৮ মার্চ হাতে আসে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, যেখানে উল্লেখ করা হয়, শিফাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ মেয়ের বাবা সিদ্দিক প্রামাণিক বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো আসামিকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।


শিফার বাবা বলেন, প্রথম দিকে পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। তবে এখন যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্বে আছেন, তারা সহযোগিতা করছেন। আমার মেয়ের মুঠোফোন ছিল না। ওকে কুরআনের হাফেজ বানানোর স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও ও এখন আর নেই। আমি শুধু চাই, যারাই দোষী, তারা যেন আইনের আওতায় আসে।

ঘটনার পর ২০২৩ সালেই রহস্যজনকভাবে মাদরাসাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এসএম দেলোয়ার বলেন, ঘটনার দিন শুনি শিফা আত্মহত্যা করেছে। স্টোর রুমে গিয়ে দেখি তার মরদেহ পড়ে আছে। কেউ তাকে হত্যা করেছে, নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, আমরা নিশ্চিত নই। আমরাও চাই দোষীরা শাস্তি পাক। তখন বদনামের কারণে মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।

 

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা গণমাধ্যমকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।



/আরটিভি সংবাদ